নাটোরের বড়াইগ্রামে পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী উপপরিদর্শক সাজেদুর রহমানের সংসারে ৩৫ বছর আগে জন্ম নেন এক কন্যা সন্তান। তখন তার নাম রাখেন শাহরিয়ার সুলতানা। শাহরিয়ার সুলতানা কলেজে পড়া অবস্থায় তার শারীরিক কিছু পরিবর্তন দেখা দেয় এবং এ পরিস্থিতিতেই তিনি বিএ পাস করে। পরবর্তীতে তিনি লজ্জায় নিজেকে লোক চক্ষুর অন্তরালে রাখতে বাড়ি থেকে বাইরে বের হতেন না। এরই মধ্যে তার শরীরের গঠন অনেকটা পুরুষের মতো হয়ে যায়।
এ সময় শাহরিয়ার সুলতানা নাম পরিবর্তন করে নিজের নাম রাখেন শাহরিয়ার জাইন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরিচয়ের সূত্র ধরে শাহরিয়ার জাইন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মাহবুবা আক্তার নামে একটি মেয়ের সঙ্গে। সম্প্রতি তারা বিয়ে করে সংসার করছেন।
বড়াইগ্রামের লক্ষীকোল বাজার এলাকার শাহরিয়ার জাইন বলেন, ফেসবুকে দুই বছর আগে পরিচয় হয় বগুড়া সদর উপজেলার শিববাটি এলাকার মাহবুবা আক্তারের সঙ্গে। পরিচয়ের এক পর্যায়ে তিনি মাহাবুবাকে তার সমস্যার কথাগুলো জানান। এসময় মাহবুবা চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি সারা জীবন তার পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং চিকিৎসার জন্য অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করেন তিনি।
তিনি জানান, বছর কয়েক আগে ভারতের নয়া দিল্লির একটি হাসপাতালে স্তন অপারেশন এবং জেন্ডার ডিসফোরিয়া অপারেশন করেন তিনি। এরপর আস্তে আস্তে তিনি সম্পূর্ণ পুরুষে রূপান্তরিত হন।
শাহরিয়ার সুলতানা নাম নিয়ে বেড়ে ওঠা এই ব্যক্তি বলেন, ‘আমার বর্তমান নাম শাহরিয়ার জাইন। সম্পূর্ণ পুরুষ হওয়ার পর আমাদের মধ্যে সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়। আমরা দুজনই আমাদের বিয়ের বিষয়ে উভয় পরিবারকে জানাই। উভয় পরিবারের সম্মতিতে গত ৩০ আগস্ট আমাদের বিয়ে হয়েছে।’
তার স্ত্রী মাহবুবা আক্তার বলেন, ‘শাহরিয়ার জাইন অনেক ভালো মানুষ, তাই তাকে বিয়ে করেছি। বিয়ের পরে আমরা সুখে শান্তিতেই বসবাস করছি।’
Leave a Reply